a শিক্ষার্থীদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ: জবি উপাচার্য 
ঢাকা শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শিক্ষার্থীদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ: জবি উপাচার্য 


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১৩
শিক্ষার্থীদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ-জবি উপাচার্য 

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ ( বুধবার)  দুপুর ১২ টায় উপাচার্য কনফারেন্স রুমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজের অগ্রগতি, জকসু নির্বচন, অস্থায়ী আবাসন, আবাসন ভাতা, জুলাই আন্দোলনের বিরোধীকারীদের বিচারসংক্রান্ত বিষয়,ফুড কোর্ট এবং অডিটোরিয়াম সংস্করণ   নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এসময়  উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম পিএইচডি,ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন,  প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল  হক এবং ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. বিলাল হোসাইন সহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ  তাজাম্মুল হক বলেন, "আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে যতদিন পর্যন্ত না হল স্থাপন করতে পারছি  ততদিন পর্যন্ত আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ৭ একর  জায়গাতে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করবো  বলেছিলাম। কিন্তু আমরা যখনই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অস্থায়ী আবাসন  নিয়ে কাজ করতে যাই তখনই ওই ৭ একর  জায়গাতে কিছু পরিমাণ বালু ভরাট করেছিল আগের প্রকল্প থাকাকালীন। আমরা দেখেছি  এখান থেকে কিছু মানুষেরা বালু নিয়ে গেছে। যাদের নেতৃত্বে ওখানে বালু ভরাটের কাজ চলছিলো  তারা যেন কীভাবে জানতে   পারে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার আশায় তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতে এখন বলা যায়, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনী শুরু করলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আলাদাভাবে ওই ৭ একর জমিতে দ্রুত অস্থায়ী  আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।"
তিনি আরও  জানান ২০২৬ সালের মধ্যে  দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি হল স্থাপন সম্পন্ন হবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরে আসতে পারবে। 

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে যতটুকু চিন্তা করে  তার থেকে দ্রুত গতিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে আরডিপি নিয়োগের কাজ চলছে। সমস্ত কাজ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে আশা করি দ্রুত সমাধান হবে। ধারণা রাখছি আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনী  দৃশ্যমান ভাবে কাজ শুরু করতে পারবে।"

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অরক্ষিত ড্রেন যেন শিক্ষার্থীদের মরণফাঁদ!


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২, ০৭:১৬
অরক্ষিত ড্রেন যেন শিক্ষার্থীদের মরণফাঁদ!

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রাচীর সংলগ্ন ফুটপাত দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনের কাজ মাস পেরিয়ে  গেলেও তাতে এখনো ঢাকনা বসানো হয়নি। তাই হাটার পথে বিপাকে পরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা। কেউ চলতে গিয়ে আছড়ে পরছেন কেউ বা নিজের মূল্যবান সম্পদ খোয়াচ্ছেন।

আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিজা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কিছুক্ষণ আগে আমি এপথে চলতে গিয়ে হোঁচট খাই। এতে আমি নিজেকে সামলে নিতে পারলেও আমার হাতে থাকা ফোন ড্রেনের ময়লা পানিতে পরে যায়। অন্যান্যদের সহযোগীতায় ফোনটি তোলা গেলেও এখন আর তা ব্যবহার উপযোগী নয়।

এ বিষয়ে জবি প্রক্টর মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলা হলে তিনি জনান, ড্রেনের বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরতদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেছেন, এসব কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। আজও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক পাঠানো হবে এ বিষয়ে খোজ নেয়ার জন্য।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ক্যাসিনো–কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিস্কৃত নেতাদের পুনর্বাসনের সংবাদে টিআইবির উদ্বেগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৪ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৯:১৪
ক্যাসিনো–কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিস্কৃত নেতাদের পুনর্বাসনের সংবাদে টিআইবির উদ্বেগ

ফাইল ছবি

ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতাদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, একজন সংসদ সদস্যের সাংগঠনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দেখে নেওয়ার হুমকি একসূত্রে গাঁথা।

টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার জিম্মি করার এই হীন প্রচেষ্টায় তারা হতাশ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতা বিদেশে দীর্ঘদিন পলাতক থেকে চমকপ্রদ উপায়ে দেশে ফিরে দায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনে পুনর্বহাল হয়েছেন। একই সঙ্গে আরও একাধিক অভিযুক্ত নেতা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুনরায় সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নিচ্ছেন। এটি সরকার প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাকে পদদলিত করার প্রকট দৃষ্টান্ত।

যুবলীগের সাবেক নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনায় আসেন। তখন ক্যাসিনো-কাণ্ডে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট), সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ অনেকে গ্রেপ্তার হলেও সাঈদ ধরা পড়েননি।

কারণ, অভিযান শুরুর কয়েক দিন আগেই তিনি দেশের বাইরে চলে যান। এরপর ওই বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করে সরকার। তিনি গত জানুয়ারির শেষ দিকে দেশে আসেন। দেশে ফিরে ক্যাসিনো সাঈদ প্রথম প্রকাশ্যে আসেন ১৪ ফেব্রুয়ারি।  সেদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফ্যালকন হলে হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভায় আকস্মিকভাবে হাজির হন তিনি।

আজ ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ক্ষমতাসীন জোটের একজন সংসদ সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করার কারণে দুদককে যে ভাষায় হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনই নয়। তার কর্তৃত্বাধীন সাংগঠনিক সক্ষমতাকে পেশিশক্তি হিসেবে ব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ। অথচ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করার প্রয়াসের পথে হাঁটতে পারতেন।  

গত সোমবার দুদকের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এই সংসদ সদস্য সেদিন বলেন, ‘দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চেনেনি। যা তা কমেন্ট করছেন সহকারী পরিচালক। চামড়া সব ছিঁড়ে ফেলব। মাইজভান্ডারীর গায়ে হাত!’

সংসদ সদস্য নজিবুল বশরের এই  বক্তব্যের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। নজিবুল বশরের এই বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয় বলে মনে করেন হাইকোর্ট।

গতকাল বৃহস্পতিবার নজিবুল বশরের বক্তব্য নজরে আনার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা সবাই কেমন যেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি। সিভিল সোসাইটির একজন মানুষ, ভালোভাবে বলতে পারতেন। তাঁর মন্তব্য আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল।’

টিআইবির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধক আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে জিম্মি করার হীন প্রয়াস। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল দেশবাসীকে কী বার্তা দিতে চাইছে? ‘যেকোনো অপরাধই করা হোক না কেন, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা থেকে পার পাওয়া যাবে! রাজনৈতিক অঙ্গনকে পেশিশক্তি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের এই অশুভ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকার ও ক্ষমতাসীন জোটকেই নিতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আমার ক্যাম্পাস